বয়স ৩০ - এর গণ্ডি ছোঁয়ার আগেই বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকে । সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবেই বা কীভাবে ?
- গত ২০ বছর ধরে আমরা লক্ষ করছি , বয়স ৩০ - এর কোটায় থাকা বহু রােগী অ্যাকিউট মায়ােকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন নিয়ে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছেন । এই রােগীর চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে করােনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার প্রয়ােজন হয়ে পড়ছে ।
- অনেকক্ষেত্রে যতক্ষণে তাঁরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছেন , ততক্ষণে তাঁদের হার্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে । এর ফলে দুর্বল হার্ট নিয়ে তাঁরা সারা জীবনের জন্য সমস্যায় থাকবেন ।
- কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে জীবন নিয়ে টানাটানি পর্যন্ত দেখা দিচ্ছে ।
- আমরা দেখেছি , গত ১০ বছরে বয়স ২০ থেকে ৪০ - এর মধ্যে থাকা ২ হাজারেরও বেশি রােগীকে হয় অ্যাঞ্জিওপ্লাষ্টির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়েছে , কিংবা তাঁদের বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছে ।
- আর এই সংখ্যাটা প্রতি বছরই আশঙ্কাজনকভাবে আরও বেড়েই চলেছে । এই সংখ্যা বৃদ্ধির কারণটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন আমরা আমাদের ডেমােগ্রাফিক চিত্রের দিকে তাকাই।
- দেশের মােট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৩৫ বছরের কম । এই কমবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি এপিডেমিওলজিস্ট এবং চিকিৎসকদের কাছে যথেষ্ট চিন্তার ।
সমাধান (solution)
- এই সমস্যা সমাধানে ডায়াবেটিস , হাইপারটেনশন এবং রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে । তাই চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা বাঞ্ছনীয় ।
- পাশাপাশি কমবয়সিদের মধ্যে ধূমপান ত্যাগ করার প্রবণতা বাড়াতে হবে ।
- খেলাধুলা ও শারীরিক ব্যায়ামে উৎসাহ দেওয়ার জন্য জনসচেতনতা বাড়ানাে প্রয়ােজন ।
- প্রাণায়ামে মানসিক শান্তি মিলবে ।
No comments:
Post a Comment